খুলনার বিখ্যাত চুইঝাল!

দৈনিক একঘেয়েমি রান্না খেতে খেতে বিরক্ত? রান্নায় এমন কিছু ব্যবহার করতে চান যেন রান্নার স্বাদ হয় আরো স্পেশাল? প্রতিদিনের রান্নায় টুইস্ট আনতে রান্নায় ব্যবহার করুন “চুইঝাল”। ঝাঁঝালো ঝাঁঝ যুক্ত এই মসলা রান্নায় মিশে দারুন স্বাদ তৈরি করে। যেকোন রান্নায় যোগ করে এক অতুলনীয় ফ্লেভার। বিভিন্ন মুখরোচক খাবারকে আরো বেশি মুখরোচক করে তোলে এই চুইঝাল। যেসব রান্নায় ব্যবহার করা যায়:

৩০,০০০ হাজারেরও অধিক গ্রাহকের কাছে
আমরা চুই ঝাল পৌঁছে দিয়েছি!

চুইঝালের পার্থক্যসমূহ

গাছ চুইঝাল

এটো চুইঝাল

কেন আমরাই সেরা

অথেন্টিক প্রোডাক্ট

আমাদের কাছেই পাচ্ছেন সেরা স্বাদ যুক্ত খুলনার অথেন্টিক দেশীয় চুইঝাল

প্রিমিয়াম কোয়ালিটি

রেগুলার বা অপরিপক্ক নয়, আমরাই দিচ্ছি বাছাইকৃত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির চুইঝাল

রিফান্ড পলিসি

যেকোন ত্রুটিপূর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে থাকছে পণ্য অথবা টাকা রিফান্ডের সুবিধা

ক্যাশ অন ডেলিভারী

আমাদের রয়েছে পন্য হাতে পেয়ে তারপর টাকা পরিশোধ করার সুব্যবস্থা

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলি

চুই ঝাল কি?

চুইঝাল পানের লতার মত এক ধরনের গাছ, এর শিকড় ও কান্ড খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। চুইঝাল মসলা ও ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে অনেকটা আদা ও গোলমরিচের মত ঝাঝালো, রান্নার পর টুকরোগুলো চুষে বা চিবিয়ে খাওয়ার সাথে সাথে এর দারুন স্বাদ উপভোগ করা যায়। খুলনা অঞ্চলের দিকে মাংস রান্নায় এই চুইঝাল ব্যবহার ব্যাপক প্রচলিত।

সাধারনত কেজি মাংসে ৫০-৬০ গ্রাম চুইঝালই যথেষ্ট। তাই ৫০০ গ্রাম চুইঝাল দিয়ে খুব ভালোভাবেই ৮-১০ কেজি মাংস রান্না করা যায়।

চুইঝাল কাটার আগে অবশ্যই ১০ থেকে ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর প্রথমত আশ বরাবর লম্বালম্বি কেটে নিবেন। তারপর প্রয়োজনমত ছোট বড় টুকরো করে নিন।

চুইঝাল দিয়ে রান্না করা তরকারিতে কড়া ঝাঁঝালো ঝাল একটা স্বাদ পাওয়া যায়। মাংস ছাড়াও ভুনা খিচুড়ি, মাছ ভুনা, বিভিন্ন রকমের রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার এর স্বাদকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

ঝোল জাতীয় যেকোন খাবারে চুইঝাল ব্যবহার করতে পারবেন। চুইঝালের ফ্লেভারটা ভালোমতো ঝোলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই তিন টুকরো চুই ঝাল থেতো করে দিবেন আর বাকি অংশটুকু আস্তই থাকবে। এতে করে যেমন ঝোল এর মধ্যে চুইঝালের ফ্লেভার পাবেন, আবার আলাদা করে চুইঝাল চিবিয়ে খাওয়ার মজাটাও উপভোগ করতে পারবেন।

চুইঝাল গাছের কাণ্ডকে গাছ চুইঝাল বলে। গাছ চুইঝালের ঝাঁঝ সাধারণত একটু বেশি হয়ে থাকে। গাছ চুইঝাল রান্নায় গলে না গিয়ে আস্ত থাকে। এজন্য যখন চিবিয়ে খাওয়া যায় তখনই স্বাদটা উপভোগ করা যায়।
চুই ঝাল গাছের গোড়া এবং গোড়া সংলগ্ন মোটা অথবা মাঝারি মোটা অংশকে এটো চুই ঝাল বলে। এটো চুইঝালে ঝাল এ ঝাল তুলনামূলক কম হলেও রান্নায় গলে গিয়ে গ্রেভি ফ্লেভার নিয়ে আসে। তরকারিতে দিলে নরম হয়ে যায়, তবে ঝোলের সাথে দারুন ফ্লেভার ছড়ায়। তুলনামূলক কম-ঝালযুক্ত এবং রান্নায় গলে যাওয়ার জন্য এই চুইঝালও কিন্ত বেশ সুস্বাদু এবং সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।

পাহাড়ী চুইঝাল দেশের পাহাড়ী অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে থাকে। এর রঙ খয়েরী অথবা লালচে সাদা, রান্না হতে বেশ সময় লাগে, খেতে মোটেও সুস্বাদু নয় এবং কাঠের মত শক্ত হয়ে থাকে। পাহাড়ী চুই এর বাহ্যিক অংশে কোনো শিকড় থাকে না অন্যদিকে দেশী চুইঝালের কান্ড ছোট ছোট শিকড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে এবং রান্নায় ও বেশ ঝাঁঝালো ঝাল এক ধরনের ফ্লেবার যোগ করে থাকে।

চুইঝাল গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে,খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে, শারীরিক দুর্বলতা ও শরীরের ব্যথা কমায়। সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে। কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। এছাড়াও চুই ঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবেও বেশ ভালো কাজ করে।

অর্ডার করুন এখনই

অর্ডার করুন এখনই

যেকোন জিজ্ঞাসা ও অর্ডারজনিত সমস্যায় কল করুন আমাদের হেল্পলাইনে অথবা নক করুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক পেজে। আমরা আছি সকাল ১০ টা থেকে রাত টা পর্যন্ত আপনার সেবায়।

ইকোইটস কাজ করছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বাধিক প্রিয় মসলা “চুইঝাল” নিয়ে। অনলাইন জগতে আমরাই প্রথম চুইঝালের প্রকারভেদ বোঝাতে “গাছ চুই” ও “এটো চুই” শব্দটির প্রচলন করি। আপনাদের আস্থা অটুট রেখে ২০২০ সাল থেকে প্রতিনিয়ত সমগ্র দেশে এবং দেশের বাইরেও আমরা চুইঝাল সরবরাহ করে চলেছি অবিরাম।

আমাদের ঠিকানা

© 2020-2025 stylishdhaka. All rights reserved.